স্বকৃত গালিব,কুবি :
সূর্য অস্ত যাওয়ার পর,মিহি আলো, সন্ধ্যার আবছা অন্ধকারের অপেক্ষা করছে।ক্লান্ত ভাব দূর করার জন্য এক গ্লাস লেবুর পানি খেয়ে সাহবাগে দাঁড়িয়ে আছি।হঠাৎ বন্ধু লিটন,আরিফ,দেবপ্রকাশের সাথে দেখা।বন্ধু কোথায় যাচ্ছ।এ্যাডভোকেট নোমান ভাইয়ের সাথে দেখা করতে।অনেক বার ভাইয়ের কথা শুনেছি কিন্তু সামনা সামনি দেখা বা কথা বলার সুযোগ হয়নি।তাই এই সুযোগ হাত ছাড়া করতে চাইলাম না। আমরা রিকশা যোগে এনবিআরের সামনে,রিকশা থেকে নেমে একটু এগোতেই একটা জটলা চোখে পড়ল! দূর থেকেই দেখতে পেলাম একজন ত্রিশ বছরের বয়সের তরুন হাত নেড়ে নেড়ে কী সব বলছেন আর আমাদের বয়সী বেশ কিছু ছেলে মন্ত্রমুগ্ধের মতো সেসব শুনছে। অস্ফুট স্বরে বন্ধুদের বললাম, ‘দেখছিস বন্ধু , ফেরিওয়ালার কথায় জাদু আছে বৈকি! ছেলেগুলারে মোহাচ্ছন্ন করে রেখেছে কথা দিয়ে!’ লিটন আমার কথা শুনে হাসার পর বলল, ‘আমরা ওই ফেরিওয়ালার কাছেই যাচ্ছি!’আর তিনিই বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট নোমান হোসাইন তালুকদার।
নোমান ভাইকে দেখার পর মনে হচ্ছিলো,সূর্য যেমন প্রতিদিন নতুন দিনের বার্তা নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হচ্ছে।আর আমরা তরুণেরা সেই নতুন দিনের বাহক। স্বপ্নের সাথে যাঁদের নিরন্তর ছুটে চলা, বুকে দেশপ্রেম আর মানুষের জন্য কিছু করার ইচ্ছে, তারাই নতুন দিনের স্মারক হয়ে বদলে দিচ্ছে আমাদের এই দেশকে।বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট নোমান হোসাইন তালুকদার তেমনই এক তরুণ।যিনি আইনের শিক্ষার্থীদেরকে বঙ্গবন্ধুর অমেয় বাণী ও আদর্শে উজ্জীবিত করে বঙ্গকন্যা প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার হাত শক্ত করে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখে।
আমরা নোমান ভাইয়ের চেম্বারে বসতেই তিনি তার চেম্বারে এসে বসলেন।আমরা ভাইয়ের সাথে পরিচয় পর্বটা শেষ করলাম।তিনি বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখার খোঁজ খবর নিলেন।আমরা বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ উপলক্ষে বছর জুড়ে কি কি সভা করতে চাই এবং আমাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা জানালান।তৃণমূলে এই সব সভা গুলো বাস্তবায়ন কিভাবে করব সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করলেন।তাকে দেখে মনেই
হচ্ছিল না যে, একজন নেতা এত সহজ ও সাবলিল ভাবে তৃণমূল কর্মীদের সাথে মিলেমিশে বছরজুড়ে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেন।
সাংগঠনিক কথা শেষ করার পর তিনি আমাদের পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিলেন । কিভাবে প্রথমবারেই
বিজেএস পরিক্ষায় জর্জ হওয়া যায়, তার জন্য কি কি বই পড়তে হবে এবং কত ঘন্টা পড়তে হবে এই বিষয়ে পরামর্শ দিলেন।যারা এ্যাডভোকেট হতে চায়,তারা কিভাবে এই পেশায় সফল হতে পারবে এবং এর জন্য ছাত্র জীবনের করনীয় কি কি এই বিষয়ে আমাদের পরামর্শ দিলেন।তিনি যখন কথা বলছিলেন আমরা সবাই তার দিকে তাকিয়ে মন্ত্রমুগ্ধের মতন তার কথা শুনছিলাম।আর মনে মনে ভাবছিলাম এক কথার জাদুকর যে, কথার পরর্শা নিয়ে বসে আছে, আর সবাই তার কথা মোহাচ্ছন্ন হয়ে মন্ত্রমুগ্ধের মতন শুনে যাচ্ছে।